স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে একটা নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরেও একুশে ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন বিষয়টি আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ, আজকেও আমাদের কাছে এর আবেদন বহমান, আজকেও আমাদের ডাকে, আমাদের মনে এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেন করে? সে কি শুধু এ কারণেই করে যে, বাংলা ভাষা শিক্ষার সর্বস্তরে প্রযুক্ত হয়নি? স
ইতিহাস চর্চার ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো হলেও বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত খুব বেশি দিনের নয়। ঔপনিবেশিক শাসনামলেই বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চার ধারা শুরু হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকে কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার পর গবেষকদের হাতে যখন ভারতবিদ্যার জ্ঞান বিস্ফোরিত হচ্ছিল, তখন থেকেই ইতিহাস চর্চার ধারা শু
বাংলাদেশ বিপ্লবের তিনটি পর্যায় হলো—ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন তথা ছয় দফা ও এগারো দফার গণ-অভ্যুত্থান এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ। এই বিপ্লবকে একটি জৈবিক সত্তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ভাষা আন্দোলন (১৯৪৮–১৯৫২) ছিল জৈবিক ভ্রূণের সঙ্গে তুলনীয় এক প্রাথমিক সত্তা অথবা অস্তিত্ব।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই দলে মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।
নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে। বুধবার সকালে রাজধানীর আফতাবনগরে ‘প্রভাত ফেরি’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত ‘শহীদ মিনার’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়
আজীমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দরজা দিয়ে ঢুকে সামান্য হাটতে হবে ৷ তারপর বামপাশে তাকালেই চোখে পড়বে সাদা-কালো মার্বেল পাথরে বাঁধাই করা পাশাপাশি তিনটি সমাধি ৷ মায়ের ভাষায় কথা বলতে আর স্বাধীন আশায় পথ চলার দৃপ্ত প্রত্যয় জারি রাখতে যারা
পাহাড়ি অঞ্চলের হাজং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ভাষা টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্তর হাজং। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিজের গোত্রের বিভিন্ন বয়সীদের হাজং ভাষা শেখাচ্ছেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে হইচই আর সাদাকালো পোশাক নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে যায়। তারপর আবার পরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নীরবতা। মাঝখানে পয়লা বৈশাখে আবার বাঙালিত্ব জেগে ওঠে। লাল-সাদা পোশাক নিয়ে পান্তা-ইলিশ। এতে দোষের কিছু নেই; বরং সংস্কারমুক্ত দুটো বিষয় বাঙালিদের অল্প সময়ের জন্য হলেও এক ও ধর্মনিরপেক্ষ
আজ অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এই দিন রক্ত ঝরেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পঞ্চম বছরে এসেই সন্দেহ, অবিশ্বাস আর শোষণ-বঞ্চনার বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে থাকে।
ভাষা আন্দোলনের সাত দশক পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার ৭৩ শতাংশেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালনে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে কাজ চালাতে দেখা যায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। অন্যদিকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৮৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ ম
যখন ১৪৪ ধারা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে ১০ জনি মিছিলগুলো বেরোচ্ছিল, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন কী করছিলেন? তিনি যদি তখন বলিষ্ঠ কোনো অবস্থান নিতে পারতেন, তাহলে কি সেদিন গুলিবর্ষণ হতো না? দিনটি হতে পারত অন্য রকম?
একুশের সকালে ছাত্রদের মধ্যে ছিল অস্থিরতা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ছিল উত্তেজনা। পুলিশি বাধার আশঙ্কা মাথায় রেখে ছাত্রনেতাদের কয়েকজন ভোরেই উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। গাজীউল হক, মোহাম্মদ সুলতান, এস এ বারী এটিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে চিরকুট
বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট দাবি দুটির একটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, অপরটি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই। পেছনে ফিরে তাকালে প্রশ্ন উঠতে পারে, দুটি দাবি কেন তোলা হলো, একটিই তো যথেষ্ট হওয়ার কথা। রাষ্ট্রভাষা যদি বাংলা হয় তাহলেও সর্বস্তরে
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ১৪৪ ধারা জারি করে পরদিন থেকে ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। আন্দোলনকারীদের সামনে তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নটিই এসে দাঁড়াল—১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হবে কি না। সেদিনই বেলা ৩টায় শুরু হয়েছিল আইন পরিষদের সভা। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট
৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান সফরের পর উজিরে আজম বা প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি পল্টন ময়দানের বক্তৃতায় রাষ্ট্রভাষা নিয়ে নিজের কোনো মতামত প্রকাশ করেননি। কায়েদে আজম যে মত প্রকাশ করেছিলেন, সেটাই তিনি শুধু বলেছেন। রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে পাকিস্তান গণপরিষদই চূড়ান্ত সিদ্ধ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর হাতে দেওয়া রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপিটিতে বলা হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একমাত্র মুসলমান যুবকদের নিয়ে গঠিত কর্মপরিষদ মনে করে যে, পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া উচিত। কোন কোন রাষ্ট্রে একাধিক রাষ্ট্রভাষা গৃহীত আছে, সে দৃষ্টান্তগুলোও
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হয়ে প্রথম যখন পূর্ব বাংলায় আসেন তখনো এখানকার জনগণের চোখে তিনি মহানায়ক। তাই ভাষা প্রশ্নে জিন্নাহর দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য উদ্গ্রীব ছিল পূর্ববঙ্গবাসী।